╲\╭┓
╭☆ ╯ 🔮::::::|| দোল যাত্রা /হোলি উৎসব |||:::::🔮
┗╯\╲ 🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
╬═╬ ✍
╬═╬
☸ অশুভকে ধ্বংস ও শুভ বা নতুনকে স্বাগত জানানোকেই দোল বা হোলি বলে ।
☸ পুরানো সব রাগ, ক্লেশ, অভিমান, ভুল, ত্রুটি ভুলে নতুনভাবে জাগোনোই দোল বা হোলি।
☸ আমাদের দেহ ও মনের সকল আসুরিক শক্তিসমুহ পরাভুত করে, দৈবশক্তিকে জাগ্রত করার শপথের উৎসবই এই দোল বা হোলি।
⛺ আর তাই ------//
দোলের আগে হোলিকা দহন বা মেড়া-পোড়া উৎসব করা হয়।
দোলের আগেরদিন সব পুরানো জঞ্জাল
যেমন : খড়, কাঠ, বাঁশ, ঝোপ ঝাড়, ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্নি-উৎসবের মধ্য দিয়ে পুরানোকে ভুলে, নতুন রংগে, নতুনভাবে জাগবার শপপ নেয়া হয়।
অর্থাৎ এখানে জঞ্জাল এর রুপক হলো আমাদের মনের সব আসুরিক প্রবৃত্তি সমুহ।
এইদিন আমাদের এই দেহক্ষেত্রের কাম, ক্রোধ, লোভ হিংসা, ঘৃনা এইসব আসুরিক প্রবৃত্তি বিনাশ করানোর শপথ অনুস্টানই এই হোলিকা দহন বা মেড়া-পোড়া উৎসব।
⛺ আর তাই ------//
দোলের দিন সনাতনীরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পরকে রং ছুড়ো ছুরি করে সবাইকে নতুন করে রংগিন করা হয় আবিরের রংগে।
⛺ কিন্তু ------//
এই রং শুধু বাইরের নয়, এই রং নিতান্তই মনের,,
মনকে প্রভাবিত করার জন্যেই এই রং বাইরে মাখা হয় মাত্র।
👘 ঠিক যেমন যেমন ---------
বসন্তের রং গায়ে লাগে না ,
লাগে মানুষের মনে
👘 ঠিক তেমন তেমন ---------
দোলের রং শুধু বাইরে প্রকাশ মাত্র
প্রকৃত রং লাগে মানবের মনে।
⛺ সুতরাং ------//
এমন নান্দনিক, উৎসব মুখর দার্শনিক মতাদর্শ ও উৎসবময় আধ্যাত্বিকতাবাদ কি আর কোনো ধর্মে আছে? মোটেও না।
আর তাই সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ সনাতন ধর্মে দিক্ষিত হচ্ছে। তাই সারা বিশ্বের মানুষ এই হোলি ঊৎসবের মধ্য দিয়েই সনাতন ছত্র ছায়ায় এসেই মুগ্ধ।
সনাতন ধর্ম ঊৎসবের এক মিলন মেলা। যেন এক মিলন গাঁথা। সনাতনীরা উৎসবের আমেজেই পরিবার, সমাজ, রাস্টে অনাবিল মুগ্ধতা দান করে একে অপরের সাথে প্রীতির বন্ধনে গেঁথে রাখে সৌন্দর্যের গাথুনিতে।
আর সনাতনীরা সেই মাল্য পড়ায়ে জাগ্রত করায় মানবের মানবিক সত্তা ।
বিশ্ব দোল যাত্রা /হোলি উৎসব কি?
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
🌹 দোলযাত্রা একটি সনাতনী বৈষ্ণবীয় উৎসব
🌹 দোল হিন্দু সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন উৎসব
🌹 শ্রীকৃষ্ণের ঝুলন থেকেই দোল কথার উদ্ভব
🌹 এই দিন সকাল থেকেই নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আবির ও গুলাল নিয়ে রং ছুরো-ছুরির খেলায় মত্ত হয়।
🌹 এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
🌹 দোলযাত্রার দিন সকালে ভগবান কৃষ্ণ ও রাধিকা দেবীর বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নান করিয়ে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়।
এরপর ভক্তরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং ছুড়ো-ছুরি করেন।
🌹 দোলের আগের দিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্নি-উৎসবের আয়োজন করা হয়। একে হোলিকা-দহন বা মেড়া-পোড়া উৎসব বলে ।
🌹 শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু-এর আবির্ভাব-তিথি উপলক্ষ্যে উপবাস থাকেন।
তাহলে এর প্রমান কি?
*************************
📓 বৈষ্ণব মতে -------//
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সহিত রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয বলে ধরা হয়।
📓 আল বেরুণীর বিবরণ মতে--------
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
মধ্যযুগে কোন কোন অঞ্চলে মুসলমানরাও হোলিকোৎসবে সংযুক্ত হতেন ।
📓 বিভিন্ন শাস্র মতে
➖➖➖➖➖➖➖
নারদ পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ এবং জৈমিনি মীমাংশায়
রঙ উৎসবের বিবরণ বিষেশভাবে তাৎপর্য পুর্ন।
📓 ৩০০ খৃষ্টপূর্বাব্দের এক শিলালিপিতে ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
রাজা হর্ষবর্ধন কর্তৃক ‘হোলিকোৎসব’পালনের উল্লেখ পাওয়া যায় ।
📓 পৌরানিক কাহিনি মতে -----//
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
দৈত্যরাজ হিরন্যকশিপু ব্রহ্মার বরে বলীয়ান ছিলেন যে , সে যেকোন পশু বা মানুষের দ্বারা অবধ্য । ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হিরন্যকশিপু দেবলোক আক্রমণ করে, দেবলোক তার পরম শত্রু । কিন্তু হিরন্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুর পরম ভক্ত । দৈত্যকুলে বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদকে হত্যা করার নানান ষড়যন্ত্র করে পিতা হিরন্যকশিপু । কিন্তু ব্যর্থ হয় । হিরন্যকশিপুর ভগ্নী হোলিকাও বরপ্রাপ্তা ছিল যে অগ্নি তাকে বধ করতে পারবেনা । সুতরাং হিরন্যকশিপু হোলিকার কোলে বালক প্রহ্লাদকে বসিয়ে আগুন লাগিয়ে দিল । দাউদাউ অগ্নিশিখার মধ্যে প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করে । বিষ্ণুর কৃপায় প্রহ্লাদ অগ্নিকুন্ড থেকেও অক্ষত থেকে যায় আর হোলিকা পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় । হিরণ্যকশিপুকে ভগবান বিষ্ণু নৃশিংহ অবতার রুপে বধ করেন ।
📓 দোল নিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন -------
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
রাঙ্গিয়ে দিয়ে যাও যাও যাওগো এবার যাবার আগে
তোমার আপন রাগে, তোমার গোপন রাগে,
তোমার তরুণ হাসির অরুণ রাগে,
অশ্রুজলের করুণ রাগে ......
মেঘের বুকে যেমন মেঘের মন্দ্র জাগে,
তেমনি আমায় দোল দিয়ে যাও
যাবার পথে আগিয়ে দিয়ে
কাঁদন-বাঁধন ভাগিয়ে দিয়ে” ।।
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
★★★ হ্যাপি হোলি ★★★
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
╭☆ ╯ 🔮::::::|| দোল যাত্রা /হোলি উৎসব |||:::::🔮
┗╯\╲ 🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
╬═╬ ✍
╬═╬
☸ অশুভকে ধ্বংস ও শুভ বা নতুনকে স্বাগত জানানোকেই দোল বা হোলি বলে ।
☸ পুরানো সব রাগ, ক্লেশ, অভিমান, ভুল, ত্রুটি ভুলে নতুনভাবে জাগোনোই দোল বা হোলি।
☸ আমাদের দেহ ও মনের সকল আসুরিক শক্তিসমুহ পরাভুত করে, দৈবশক্তিকে জাগ্রত করার শপথের উৎসবই এই দোল বা হোলি।
⛺ আর তাই ------//
দোলের আগে হোলিকা দহন বা মেড়া-পোড়া উৎসব করা হয়।
দোলের আগেরদিন সব পুরানো জঞ্জাল
যেমন : খড়, কাঠ, বাঁশ, ঝোপ ঝাড়, ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্নি-উৎসবের মধ্য দিয়ে পুরানোকে ভুলে, নতুন রংগে, নতুনভাবে জাগবার শপপ নেয়া হয়।
অর্থাৎ এখানে জঞ্জাল এর রুপক হলো আমাদের মনের সব আসুরিক প্রবৃত্তি সমুহ।
এইদিন আমাদের এই দেহক্ষেত্রের কাম, ক্রোধ, লোভ হিংসা, ঘৃনা এইসব আসুরিক প্রবৃত্তি বিনাশ করানোর শপথ অনুস্টানই এই হোলিকা দহন বা মেড়া-পোড়া উৎসব।
⛺ আর তাই ------//
দোলের দিন সনাতনীরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পরকে রং ছুড়ো ছুরি করে সবাইকে নতুন করে রংগিন করা হয় আবিরের রংগে।
⛺ কিন্তু ------//
এই রং শুধু বাইরের নয়, এই রং নিতান্তই মনের,,
মনকে প্রভাবিত করার জন্যেই এই রং বাইরে মাখা হয় মাত্র।
👘 ঠিক যেমন যেমন ---------
বসন্তের রং গায়ে লাগে না ,
লাগে মানুষের মনে
👘 ঠিক তেমন তেমন ---------
দোলের রং শুধু বাইরে প্রকাশ মাত্র
প্রকৃত রং লাগে মানবের মনে।
⛺ সুতরাং ------//
এমন নান্দনিক, উৎসব মুখর দার্শনিক মতাদর্শ ও উৎসবময় আধ্যাত্বিকতাবাদ কি আর কোনো ধর্মে আছে? মোটেও না।
আর তাই সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ সনাতন ধর্মে দিক্ষিত হচ্ছে। তাই সারা বিশ্বের মানুষ এই হোলি ঊৎসবের মধ্য দিয়েই সনাতন ছত্র ছায়ায় এসেই মুগ্ধ।
সনাতন ধর্ম ঊৎসবের এক মিলন মেলা। যেন এক মিলন গাঁথা। সনাতনীরা উৎসবের আমেজেই পরিবার, সমাজ, রাস্টে অনাবিল মুগ্ধতা দান করে একে অপরের সাথে প্রীতির বন্ধনে গেঁথে রাখে সৌন্দর্যের গাথুনিতে।
আর সনাতনীরা সেই মাল্য পড়ায়ে জাগ্রত করায় মানবের মানবিক সত্তা ।
বিশ্ব দোল যাত্রা /হোলি উৎসব কি?
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
🌹 দোলযাত্রা একটি সনাতনী বৈষ্ণবীয় উৎসব
🌹 দোল হিন্দু সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন উৎসব
🌹 শ্রীকৃষ্ণের ঝুলন থেকেই দোল কথার উদ্ভব
🌹 এই দিন সকাল থেকেই নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আবির ও গুলাল নিয়ে রং ছুরো-ছুরির খেলায় মত্ত হয়।
🌹 এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
🌹 দোলযাত্রার দিন সকালে ভগবান কৃষ্ণ ও রাধিকা দেবীর বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নান করিয়ে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়।
এরপর ভক্তরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং ছুড়ো-ছুরি করেন।
🌹 দোলের আগের দিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্নি-উৎসবের আয়োজন করা হয়। একে হোলিকা-দহন বা মেড়া-পোড়া উৎসব বলে ।
🌹 শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু-এর আবির্ভাব-তিথি উপলক্ষ্যে উপবাস থাকেন।
তাহলে এর প্রমান কি?
*************************
📓 বৈষ্ণব মতে -------//
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সহিত রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয বলে ধরা হয়।
📓 আল বেরুণীর বিবরণ মতে--------
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
মধ্যযুগে কোন কোন অঞ্চলে মুসলমানরাও হোলিকোৎসবে সংযুক্ত হতেন ।
📓 বিভিন্ন শাস্র মতে
➖➖➖➖➖➖➖
নারদ পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ এবং জৈমিনি মীমাংশায়
রঙ উৎসবের বিবরণ বিষেশভাবে তাৎপর্য পুর্ন।
📓 ৩০০ খৃষ্টপূর্বাব্দের এক শিলালিপিতে ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
রাজা হর্ষবর্ধন কর্তৃক ‘হোলিকোৎসব’পালনের উল্লেখ পাওয়া যায় ।
📓 পৌরানিক কাহিনি মতে -----//
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
দৈত্যরাজ হিরন্যকশিপু ব্রহ্মার বরে বলীয়ান ছিলেন যে , সে যেকোন পশু বা মানুষের দ্বারা অবধ্য । ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হিরন্যকশিপু দেবলোক আক্রমণ করে, দেবলোক তার পরম শত্রু । কিন্তু হিরন্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুর পরম ভক্ত । দৈত্যকুলে বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদকে হত্যা করার নানান ষড়যন্ত্র করে পিতা হিরন্যকশিপু । কিন্তু ব্যর্থ হয় । হিরন্যকশিপুর ভগ্নী হোলিকাও বরপ্রাপ্তা ছিল যে অগ্নি তাকে বধ করতে পারবেনা । সুতরাং হিরন্যকশিপু হোলিকার কোলে বালক প্রহ্লাদকে বসিয়ে আগুন লাগিয়ে দিল । দাউদাউ অগ্নিশিখার মধ্যে প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করে । বিষ্ণুর কৃপায় প্রহ্লাদ অগ্নিকুন্ড থেকেও অক্ষত থেকে যায় আর হোলিকা পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় । হিরণ্যকশিপুকে ভগবান বিষ্ণু নৃশিংহ অবতার রুপে বধ করেন ।
📓 দোল নিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন -------
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
রাঙ্গিয়ে দিয়ে যাও যাও যাওগো এবার যাবার আগে
তোমার আপন রাগে, তোমার গোপন রাগে,
তোমার তরুণ হাসির অরুণ রাগে,
অশ্রুজলের করুণ রাগে ......
মেঘের বুকে যেমন মেঘের মন্দ্র জাগে,
তেমনি আমায় দোল দিয়ে যাও
যাবার পথে আগিয়ে দিয়ে
কাঁদন-বাঁধন ভাগিয়ে দিয়ে” ।।
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
★★★ হ্যাপি হোলি ★★★
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
0 comments :