★রিপোট করেছেনঃ
বালাক চন্দ্র দে
শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথী
সন্দ্বীপ উপজেলা।
.
★ সনাতন ধর্ম সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব----
.
★ বর্তমানে অনলাইনে কিছু জ্ঞানপাপীর আগমন হয়েছে তারা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপপ্রচার করে।
তাদের অন্যতম নিকৃষ্ট একটি লেখা যেখানে তারা শুরুতেই বলে দেই
"হিন্দু ভাইয়েরা মন খারাপ করবেননা আমি শুধু জানতে চাই"
এই লেখাটা হলো একধরনের ভাঙ্গা ক্যাসেট এর মতো, আর ঐ সমস্ত জ্ঞানপাপীরা হলো রেডিও এর মতো, শুধু বলেই যাবে কারো কথা শুনতে চায় না।
তাই তাদের সেই লেখাটার বিরুদ্ধে লেখা অতীব জরুরী বলে মনে করি।
কেননা সবাই তো অার সত্যটাকে বের করতে চায় না।
.
আসুন তাদের অপপ্রচারের জবাবটা দিয়ে দিই----
----------------------------------------
★তাদের দাবি---
রিগবেদ অধ্যায়-৩, খন্ড-৩১, শ্লোক: ১-২ ‘‘পিতা
তার মেয়ের সাথে অশ্লীলকর্মে
লিপ্ত’’- =>এছাড়া মা- ছেলে দূষ্কর্ম,
এমন বিশ্রি বর্ণনা যেই গ্রন্থে তা কি
করে সৃষ্টিকর্তার বাণী হতে পারে?
.
★আমার জবাবঃ- তাদের এই দাবিটা পড়েই এদের দৌড় সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়ে গেছে, কেননা ঋকবেদে অধ্যায় : খন্ড : শ্লোক -দিয়ে কোন মন্ত্র নেই,ঋগবেদে মন্ত্রগুলো সুক্ত ও মন্ডলে বিভক্ত। তবুও তাদের সেই রেফারেন্স অনুসারে ঋগ্বেদে পেলাম---
→ শাসদ্বহির্দুর্হিতুর্নপ্তাং গাদ্ধিদ্ধাঁ ঋতস্য দীধিতিং সপর্য্যন।
→পিতা যত্র দুহিতুঃ সেকমৃঞ্জন্ সং শগ্ম্যেন মনসা দধম্বে।।
(ঋগ্বেদ-- ৩/৩১/১)
.
★অনুবাদ- “ঐ আত্মহীন পিতা, যে পরিবারের ধারক(পোষক), নির্দেশ করে তার নাতি(পুত্র তুল্যা)যে তার কন্যার সন্তান এবং যজ্ঞ করার দক্ষতার উপর আস্থা রাখে, সন্মানক(তার জামাই কে)নানাবিধি উপহারের সঙ্গে, সেই পিতা বিশ্বাস করে কন্যার গর্ভধারণের উপর, নিজেকে সমর্থন করে শান্তিপূর্ণ ও খুশি মনে”
.
★ভাবার্থ- “হে মানব! যেমন একটি কন্যা পিতা হতে জন্মলাভ করে, সুতরাং এই উষা(ভোর) জন্ম নেয় সূর্য হতে, যেমন স্বামী গর্ভধারণ করাই তার স্ত্রীর, সুতরাং এই সূর্য স্থাপন করে তার বীর্য(তেজঃ) ভোরের আলোকে রশ্মি আকারে। এই উষা হল সূর্যের কন্যা তুল্য যেখান থেকে জন্ম নেই একটি পুত্র উষা লগ্নে সকালের আকারে”
.
★এটি ভোরের অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য বর্ণনাকারী একটি বেদ মন্ত্র। ভোরে উদিত সূর্য রশ্মি হল এখানে “বীর্য” অর্থ্যাৎ “সূর্যের তেজ” ।এখানে সেই মূহর্ত অর্থ্যাৎ উষালগ্ন যা অপূর্ব সুন্দর তাই নারী রূপে কল্পিত সূর্যকন্যা এবং সকাল যা আলোক তেজঃ রূপি ও পুত্ররূপে কল্পিত উষার পুত্র।
(অনুবাদ- পন্ডিত সত্যকাম বিদ্যালংকার)
.
★তাদের দাবি --
শিব ৬০,০০০ বিবাহ করেছিল সে মারা
যাবার পর তার লিঙ্গকে পূজা করা হয়
একজন শিষ্টাচার হিন্দু কোন যুক্তিকতায়
তার স্ত্রীর দুধ দিয়ে শিবের
গোপন অঙ্গ ধৌত করে? এটা কি
সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য? এমন কুরুচিপূর্ন
আদেশ সৃষ্টিকর্তা দিতে পারেন কি?
.
★আমার জবাবঃ- এই দাবিটা কোথা থেকে পেয়েছে তার কোন সূত্র নেই, শিব ৬০হাজার বিবাহ করেছিল এটা কোন শাস্ত্রে আছে তা কিন্তু এরা উল্লেখ করেনি, করবেই বা কি করে, মিথ্যাবাদীরা কখনো সত্য লুকাতে পারে?
তবুও একটা কথা বলতেই হয় শিব পার্বতীকে বিবাহ করেছিলেন।
যেই সতী তিনিই আবার পরজন্মে পার্বতী।
.
সৌরপুরাণ ৫৮/১৪ এবং ৫৮/১৫ তে স্পষ্ট উল্লেখ আছে---
→গৃহীহেতি শিবঃ প্রাহ পার্ব্বতী পর্ব্বতেশ্বরম্।
→তদ্ধস্তে ভগবান্ শম্ভুরঙ্গুলীয়ং প্রবেশয়েৎ।। ১৪
→ইমঞ্চ কলসং হৈমমাদায় ত্বং নগোত্তম।
→যাহি গত্বা ত্বনেনৈব তামুমাং স্নাপায় ত্বরা।। ১৫
.
★বঙ্গানুবাদ- শম্ভু, পর্ব্বতেশ্বরকে কহিলেন, -- আমি পার্বতীকে গ্রহণ করিলাম। পরে দেবীর হস্তে একটি অঙ্গুরীয় প্রদান করিয়া নগোত্তমকে কহিলেন, -- আপনি এই হৈম কলস লইয়া গিয়া সত্ত্বর ইহা দ্বারা সেই উমাকে স্নান করাইয়া দিবেন।
.
★শিবলিঙ্গ→ শিবলিংঙ্গ মানে যৌনাঙ্গ যে এই কথাটি লিখেছেন সে সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখেন না। শিব সংস্কৃতে शिव, Siva যার বাংলা অর্থ শুভ বা মঙ্গল আর লিংঙ্গ অর্থ প্রতিক বা চিন্হ যার সম্পুর্ন অর্থ হচ্ছে সর্বমঙ্গলময় বিশ্ববিধাতার প্রতীক। আবার ব্যাকারনে যেটা পুরুষ বোঝায় তাকে পুঃলিংঙ্গ, যেটা দ্বারা নারী বোঝায় তাকে স্ত্রীলিংঙ্গ,যেটা দ্বারা নারী পুরুষ উভয়ই হতে পারে তাকে উভয় লিংঙ্গ ও যেটা দ্বারা জর বস্তু বোঝায় তাকে ক্লীবলিংঙ্গ বলে, কোন ভাবেই এটা যৌন অঙ্গ’কে বোঝায় না, উধারনস্বরুপ চেয়ার দেখলে বুঝি এটা একটা জর বস্তু তাই এটিকে ক্লীবলিংঙ্গ বলা হয়, তেমনি ভাবে যে কালোপাথরটি (শিবলিংঙ্গ) দ্বারা আমরা শিবকে বুঝি, তাই ওটাকে আমরা শিবলিংঙ্গ বলি, ওটা শিবের প্রতিক, বাংলাদেশের প্রতিকি যেমন বাংলাদেশের পতাকা বহন করে, তেমনি শিবলিংঙ্গ শিবের প্রতিকি বহন করে,পতাকাকে স্যালুট করলে যেমন দেশকে সন্মান করা হয় তেমনি শিব লিংঙ্গের পুজা করলে শিবের পুজা করা হয়।
.
★কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের লিখা একটা কাব্য আছে "দেবতায় মনুষ্যত্ব আরোপ" সেখানে রবীন্দ্রনাথ উল্লেখ করেছেন অল্পবিদ্যধারী আধুনিক মানুষরা কিভাবে প্রাচীনা মানুষদের দর্শন ও চিন্তা ভাবনার বিপরীতে, মানুষের বিভিন্ন দোষ ও স্বভাবকে তারা দেবতাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে, দেবতাদের তার তাদের স্বভাবের প্রতিছবি হিসাবে দেখে বা চিন্তা করে।
এরজন্য সংস্কৃত লিঙ্গ শব্দের ৩১ টি ও সংস্কৃত যোনি শব্দের ৩৪টি আলাদা আলাদা অর্থ থাকলেও কুৎসাকারীরা প্রতিক্ষেত্রে লিঙ্গ মানে পুরুষযৌনাঙ্গ ও যোনি মানে স্ত্রীযৌনাঙ্গ ধরে বসে।
যদি শিবলিঙ্গকে অর্থগত দিক দিয়ে বিবেচনা করা হয় তবে এটা "মঙ্গলের(শিব) প্রতিক(লিঙ্গ)" হবে এবং যদি সনাতন দর্শন এর দিক দিয়ে বিবেচনা করা হয় তবে এটা “লিঙ্গশরীরের প্রতিক” হবে এবং যদি এটা আধ্যাত্ম দিক দিয়ে বিবেচনা করা হয় তবে এটা "শিবশক্তির" প্রতিক হবে, তিনটি ক্ষেত্রেই শেষে সেই একই জিনিস -"লিঙ্গশরীরের" দিকে নির্দেশ দেয়।
লিঙ্গশরীর কি?
সাঙ্খ্য, বেদান্ত ও যোগ দর্শন মতে শরীর তিন প্রকার -
১.স্থুল শরীর
২.লিঙ্গ শরীর
৩.করণ শরীর
লিঙ্গশরীর হল এক কথাই সূক্ষ বা ভৌতিক দেহ। জীবদেহের মন ও বুদ্ধির কারক হল এই লিঙ্গশরীর। ইহা কার্যগত ভাবে নাড়ী ও ষটচক্র নিয়ে গঠিত। নাড়ীর মাধ্যমে শক্তি সক্রিয় থাকে এবং ছয় চক্র - মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত
বালাক চন্দ্র দে
শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথী
সন্দ্বীপ উপজেলা।
.
★ সনাতন ধর্ম সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব----
.
★ বর্তমানে অনলাইনে কিছু জ্ঞানপাপীর আগমন হয়েছে তারা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপপ্রচার করে।
তাদের অন্যতম নিকৃষ্ট একটি লেখা যেখানে তারা শুরুতেই বলে দেই
"হিন্দু ভাইয়েরা মন খারাপ করবেননা আমি শুধু জানতে চাই"
এই লেখাটা হলো একধরনের ভাঙ্গা ক্যাসেট এর মতো, আর ঐ সমস্ত জ্ঞানপাপীরা হলো রেডিও এর মতো, শুধু বলেই যাবে কারো কথা শুনতে চায় না।
তাই তাদের সেই লেখাটার বিরুদ্ধে লেখা অতীব জরুরী বলে মনে করি।
কেননা সবাই তো অার সত্যটাকে বের করতে চায় না।
.
আসুন তাদের অপপ্রচারের জবাবটা দিয়ে দিই----
----------------------------------------
★তাদের দাবি---
রিগবেদ অধ্যায়-৩, খন্ড-৩১, শ্লোক: ১-২ ‘‘পিতা
তার মেয়ের সাথে অশ্লীলকর্মে
লিপ্ত’’- =>এছাড়া মা- ছেলে দূষ্কর্ম,
এমন বিশ্রি বর্ণনা যেই গ্রন্থে তা কি
করে সৃষ্টিকর্তার বাণী হতে পারে?
.
★আমার জবাবঃ- তাদের এই দাবিটা পড়েই এদের দৌড় সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়ে গেছে, কেননা ঋকবেদে অধ্যায় : খন্ড : শ্লোক -দিয়ে কোন মন্ত্র নেই,ঋগবেদে মন্ত্রগুলো সুক্ত ও মন্ডলে বিভক্ত। তবুও তাদের সেই রেফারেন্স অনুসারে ঋগ্বেদে পেলাম---
→ শাসদ্বহির্দুর্হিতুর্নপ্তাং গাদ্ধিদ্ধাঁ ঋতস্য দীধিতিং সপর্য্যন।
→পিতা যত্র দুহিতুঃ সেকমৃঞ্জন্ সং শগ্ম্যেন মনসা দধম্বে।।
(ঋগ্বেদ-- ৩/৩১/১)
.
★অনুবাদ- “ঐ আত্মহীন পিতা, যে পরিবারের ধারক(পোষক), নির্দেশ করে তার নাতি(পুত্র তুল্যা)যে তার কন্যার সন্তান এবং যজ্ঞ করার দক্ষতার উপর আস্থা রাখে, সন্মানক(তার জামাই কে)নানাবিধি উপহারের সঙ্গে, সেই পিতা বিশ্বাস করে কন্যার গর্ভধারণের উপর, নিজেকে সমর্থন করে শান্তিপূর্ণ ও খুশি মনে”
.
★ভাবার্থ- “হে মানব! যেমন একটি কন্যা পিতা হতে জন্মলাভ করে, সুতরাং এই উষা(ভোর) জন্ম নেয় সূর্য হতে, যেমন স্বামী গর্ভধারণ করাই তার স্ত্রীর, সুতরাং এই সূর্য স্থাপন করে তার বীর্য(তেজঃ) ভোরের আলোকে রশ্মি আকারে। এই উষা হল সূর্যের কন্যা তুল্য যেখান থেকে জন্ম নেই একটি পুত্র উষা লগ্নে সকালের আকারে”
.
★এটি ভোরের অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য বর্ণনাকারী একটি বেদ মন্ত্র। ভোরে উদিত সূর্য রশ্মি হল এখানে “বীর্য” অর্থ্যাৎ “সূর্যের তেজ” ।এখানে সেই মূহর্ত অর্থ্যাৎ উষালগ্ন যা অপূর্ব সুন্দর তাই নারী রূপে কল্পিত সূর্যকন্যা এবং সকাল যা আলোক তেজঃ রূপি ও পুত্ররূপে কল্পিত উষার পুত্র।
(অনুবাদ- পন্ডিত সত্যকাম বিদ্যালংকার)
.
★তাদের দাবি --
শিব ৬০,০০০ বিবাহ করেছিল সে মারা
যাবার পর তার লিঙ্গকে পূজা করা হয়
একজন শিষ্টাচার হিন্দু কোন যুক্তিকতায়
তার স্ত্রীর দুধ দিয়ে শিবের
গোপন অঙ্গ ধৌত করে? এটা কি
সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য? এমন কুরুচিপূর্ন
আদেশ সৃষ্টিকর্তা দিতে পারেন কি?
.
★আমার জবাবঃ- এই দাবিটা কোথা থেকে পেয়েছে তার কোন সূত্র নেই, শিব ৬০হাজার বিবাহ করেছিল এটা কোন শাস্ত্রে আছে তা কিন্তু এরা উল্লেখ করেনি, করবেই বা কি করে, মিথ্যাবাদীরা কখনো সত্য লুকাতে পারে?
তবুও একটা কথা বলতেই হয় শিব পার্বতীকে বিবাহ করেছিলেন।
যেই সতী তিনিই আবার পরজন্মে পার্বতী।
.
সৌরপুরাণ ৫৮/১৪ এবং ৫৮/১৫ তে স্পষ্ট উল্লেখ আছে---
→গৃহীহেতি শিবঃ প্রাহ পার্ব্বতী পর্ব্বতেশ্বরম্।
→তদ্ধস্তে ভগবান্ শম্ভুরঙ্গুলীয়ং প্রবেশয়েৎ।। ১৪
→ইমঞ্চ কলসং হৈমমাদায় ত্বং নগোত্তম।
→যাহি গত্বা ত্বনেনৈব তামুমাং স্নাপায় ত্বরা।। ১৫
.
★বঙ্গানুবাদ- শম্ভু, পর্ব্বতেশ্বরকে কহিলেন, -- আমি পার্বতীকে গ্রহণ করিলাম। পরে দেবীর হস্তে একটি অঙ্গুরীয় প্রদান করিয়া নগোত্তমকে কহিলেন, -- আপনি এই হৈম কলস লইয়া গিয়া সত্ত্বর ইহা দ্বারা সেই উমাকে স্নান করাইয়া দিবেন।
.
★শিবলিঙ্গ→ শিবলিংঙ্গ মানে যৌনাঙ্গ যে এই কথাটি লিখেছেন সে সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখেন না। শিব সংস্কৃতে शिव, Siva যার বাংলা অর্থ শুভ বা মঙ্গল আর লিংঙ্গ অর্থ প্রতিক বা চিন্হ যার সম্পুর্ন অর্থ হচ্ছে সর্বমঙ্গলময় বিশ্ববিধাতার প্রতীক। আবার ব্যাকারনে যেটা পুরুষ বোঝায় তাকে পুঃলিংঙ্গ, যেটা দ্বারা নারী বোঝায় তাকে স্ত্রীলিংঙ্গ,যেটা দ্বারা নারী পুরুষ উভয়ই হতে পারে তাকে উভয় লিংঙ্গ ও যেটা দ্বারা জর বস্তু বোঝায় তাকে ক্লীবলিংঙ্গ বলে, কোন ভাবেই এটা যৌন অঙ্গ’কে বোঝায় না, উধারনস্বরুপ চেয়ার দেখলে বুঝি এটা একটা জর বস্তু তাই এটিকে ক্লীবলিংঙ্গ বলা হয়, তেমনি ভাবে যে কালোপাথরটি (শিবলিংঙ্গ) দ্বারা আমরা শিবকে বুঝি, তাই ওটাকে আমরা শিবলিংঙ্গ বলি, ওটা শিবের প্রতিক, বাংলাদেশের প্রতিকি যেমন বাংলাদেশের পতাকা বহন করে, তেমনি শিবলিংঙ্গ শিবের প্রতিকি বহন করে,পতাকাকে স্যালুট করলে যেমন দেশকে সন্মান করা হয় তেমনি শিব লিংঙ্গের পুজা করলে শিবের পুজা করা হয়।
.
★কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের লিখা একটা কাব্য আছে "দেবতায় মনুষ্যত্ব আরোপ" সেখানে রবীন্দ্রনাথ উল্লেখ করেছেন অল্পবিদ্যধারী আধুনিক মানুষরা কিভাবে প্রাচীনা মানুষদের দর্শন ও চিন্তা ভাবনার বিপরীতে, মানুষের বিভিন্ন দোষ ও স্বভাবকে তারা দেবতাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে, দেবতাদের তার তাদের স্বভাবের প্রতিছবি হিসাবে দেখে বা চিন্তা করে।
এরজন্য সংস্কৃত লিঙ্গ শব্দের ৩১ টি ও সংস্কৃত যোনি শব্দের ৩৪টি আলাদা আলাদা অর্থ থাকলেও কুৎসাকারীরা প্রতিক্ষেত্রে লিঙ্গ মানে পুরুষযৌনাঙ্গ ও যোনি মানে স্ত্রীযৌনাঙ্গ ধরে বসে।
যদি শিবলিঙ্গকে অর্থগত দিক দিয়ে বিবেচনা করা হয় তবে এটা "মঙ্গলের(শিব) প্রতিক(লিঙ্গ)" হবে এবং যদি সনাতন দর্শন এর দিক দিয়ে বিবেচনা করা হয় তবে এটা “লিঙ্গশরীরের প্রতিক” হবে এবং যদি এটা আধ্যাত্ম দিক দিয়ে বিবেচনা করা হয় তবে এটা "শিবশক্তির" প্রতিক হবে, তিনটি ক্ষেত্রেই শেষে সেই একই জিনিস -"লিঙ্গশরীরের" দিকে নির্দেশ দেয়।
লিঙ্গশরীর কি?
সাঙ্খ্য, বেদান্ত ও যোগ দর্শন মতে শরীর তিন প্রকার -
১.স্থুল শরীর
২.লিঙ্গ শরীর
৩.করণ শরীর
লিঙ্গশরীর হল এক কথাই সূক্ষ বা ভৌতিক দেহ। জীবদেহের মন ও বুদ্ধির কারক হল এই লিঙ্গশরীর। ইহা কার্যগত ভাবে নাড়ী ও ষটচক্র নিয়ে গঠিত। নাড়ীর মাধ্যমে শক্তি সক্রিয় থাকে এবং ছয় চক্র - মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত
উত্তরটা ভালো লেগেছে। খুশি হবো যদি ইমেল করেন এ ব্যাপারটা জানিয়ে যে প্রতীকি অর্থে লিঙ্গের আকৃতি প্রদানের মাধ্যমে শিবশক্তিকে বোঝানো হয়েছে। তাহলে এই লিঙ্গাকৃতিই বা কেনো। আর শিব লিঙ্গের পুজার পিছনের কারণটি কি? আমাকে যদি রেফারেন্সসহ উত্ত্রটি দেন তাহলে কয়েকজনকে জবাব দিতে পারতাম। ধন্যবাদ
ReplyDeleteশিব লিঙ্গ নিয়ে ভুল ধারণা আছে ,, শিব শব্দের অর্থ হল *মঙ্গলময়* ও লিঙ্গ শব্দের অর্থ হল *প্রতীক* অর্থাৎ *শিব লিঙ্গ* হল *মঙ্গলময় ঈশ্বরের প্রতীক* ,,,প্রাচীন কালে মানুষ সুন্দর করে মুর্তি গড়তে পারত না,,,তাই ঈশ্বরের প্রতীক স্বরুপ এই রকম একটি স্তম্ভ তৈরি করে তার উপরের দিকে তিনটি সাদা তিলক কেটে দিত,,,এবং সেই স্থানে এসে প্রতিদিন ঈশ্বরের আরাধনা করত
Deleteতাহলে কি এটা মন গড়া হয়ে গেলোনা যা করতে বলেনি তা কেনো করছো
Deletescmitra016@gmail.com
ReplyDeleteএটি আমার ইমেইল এড্রেস
ধন্যবাদ /এই লেখা টা কপি করলাম
ReplyDeleteThanks.ai lekhata amio copy korlam
ReplyDeleteThanks.ai lekhata amio copy korlam
ReplyDelete