╲\╭┓
╭☆ ╯ 🔮::||
নাট্যশাস্ত্রের আদি প্রবক্তা শিব ||::🔮
┗╯\╲ 🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
╬═╬
☸ মহাদেব শিবকে নটরাজ বলা হয়।
🌹 শিব ছিলেন নৃত্যরাজ,
🌹 শিব ছিলেন কন্ঠ শিল্পী,
🌹 শিব ছিলেন বাদ্যকার ও
🌹 শিব ছিলেন অভিনেতা।
⛺ আর তাই l ------///
> শিব নাচতেন তান্ডব ও লাস্য মুদ্রায়,
> শিব বাজাতেন ডমরু,
> শিব গীত গাইতেন সুমধুর সুরেলা কন্ঠে,
> আর অভিনয় করতেন নানা রুপে, নানা সাজে
⛺ সুতরাং------///
# নৃত্য, গীত, বাদ্য এই তিনটির মিলনের ফল নাট্য শাস্র
# নটরাজ শিব এই নৃত্য, গীত আর বাদ্যের আদি প্রবক্তা।
⛺ অতএব------///
ভগবান শিব নিজেই নেচে গেয়ে, বাদ্য বাজিয়ে মানব জাতিকে শিখিয়েছেন শিল্প কলা ( নাচ, গান, বাদ্য ও অভিনয়)
শিবই মানব জাতিকে শিখিয়েছেন
যোলকলা, নাদ-অনুনাদ, ছয়রাগ, ছত্রিশ রাগিনী নয়রস, সপ্তসুর/ স্বরলিপি ( সা রে গা মা পা ধা নি) তাল, লয় ও ছন্দ।
📘📘 শিব কেন এই সংস্কৃতি আমাদের শিখালেন ?
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
⛺ কারন ------//
সংস্কৃতিও পারে মানুষের মনে দৈব প্রকৃতির বিকাশ ঘটাতে। তাই শিব মানব সভ্যতা ও মানব কল্যানের বিকাশ সাধনের জন্যিই এই সংস্কৃতি উপহার দিয়েছিলে
📘📘 তাহলে শিব কিভাবে স্বর্গ থেকে মানব জাতিকে এই জ্ঞান দিলেন ?
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
🌹 ভগবান শিব সর্বপ্রথম ব্রহ্মাকে এই নাট্যবেদ উপদেশ দিয়েছিলেন। এই বেদ হল পঞ্চমবেদ।
🌹 তারপর ব্রহ্মা ভরতমুনিকে বলেন এবং
🌹 ভরতমুনি তা মর্ত্যে প্রচার করেন এবং তা স্কন্ধ পুরানে আর নাট্য সুত্রে লিপিবদ্ধ করে রাখেন।
⛺ আর তাই------///
আজও ভরতমুনির ‘নাট্যসূত্র’ বিশ্ব বিখ্যাত।
📘📘 তাহলে এর প্রমান কি ?
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
হাজার হাজার বছর আগের ভরতমুনির স্কন্দপুরানের ‘নাট্যসূত্রে’ এর প্রমান পাওয়া যায়।
⛺ আর এইভাবেই ------///
এইভাবেই এই পৃথিবীতে নাট্য শাস্রের উদ্ভব হয়েছিল। সনাতন শাস্রের এই বেদ থেকেই উদ্ভব হল নৃত্য, সংগীত, বাদ্যযন্ত্র, নাটক, অভিনয় ও অন্যান্য শিল্প কলা।
আবার সর্ব প্রথম বীনা তৈরি করেছিলেন নারদ মুনি।
⛺ সুতরাং------///
এইভাবেই স্কন্দপুরান ও ভরত মুনির নাট্য সুত্র থেকে মনুষ্যগন সুত্র নিয়ে নানাভাবে রুপান্তর করে তৈরি করলেন অন্যান্য নৃত্য, কাব্য, গীত, তবলা, হারমোনিয়াম, সেতার, গীটার, সুর, ছন্দ, তাল, লয় আরো নানা কিছু। আর তাই সংস্কৃতিকে শিবের স্তুতি করা হয়।
এইখানে স্কন্দ পুরানের একটা কাহিনী উল্লেখ করলাম ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
★★★
স্কন্দপুরানে নটরাজ শিবের চার মাসব্যাপী এক নৃত্যাভিনয়ের কথা উল্লেখ আছে। আষাঢ় মাসের চতুর্দশী তিথিতে আরম্ভ হয়ে কার্ত্তিক মাসের শুক্লা চতুর্দশী পর্যন্ত ঐ নৃত্য অবিরাম চলেছিল।
# মহাদেব শিব বেশ সাজুগুজু করেছিলেন
* মাথার মুকুটে বসালেন সর্প,
* শরীরে মাখলেন ভস্মরাগ,
* আরো নানাবিধ ভূষনে হয়েছিলেন সুসজ্জিত
★ স্বর্গে নটরাজ শিবের সেই নৃত্য আসরে...
* মৃদঙ্গ বাজিয়েছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা,
* তাল দিয়েছিলেন কেশব,
* বংশী বাজিয়েছিলেন ইন্দ্র,অগ্নি প্রমুখ
* কেউ বাজিয়েছিলেন উপাঙ্গ
* কেউ বাজিয়েছিলেন শূর্প
* কেউ বাজিয়েছিলেন পনব,
* কেউ বাজিয়েছিলেন ঘণ্টা,
আর অন্যান্য দেবতাদের মধ্যে কেউ শংকো, কেউ করতাল, কেউ অন্যান্য বাদ্য।
বাজনার তালে তালে মধুর সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন গন্ধর্ব গন।
আর শিব সেজে গুজে নৃত্যাভিনয় পরিবেশন করলেন লাস্য মুদ্রায়। শিবের সেই নৃত্যে তাল ছিল রুদ্র আর রস ছিল শান্ত।
যদিও কখনো কখনো শিব রাগে ক্ষোভে তান্ডব নৃত্যে স্বর্গ কাঁপিয়ে ফেলতো।
সকল দেব দেবীগন শিবের সেই নৃত্যাসর উপভোগ করেছিলেন ।
পরিশেষে বলতে চাই......... ////
আজকের এই সভ্য দুনিয়ায় আমরা যে, গান বাদ্য, নাটক, অভিনয় করে ও দেখে আনন্দ পাই, এই সবই মহাদেব শিবের কল্যানেই আমরা পেয়েছি। শিব ভরত মুনির মাধ্যমে আমাদের এই অপরুপ সংস্কৃতি শিখিয়েছেন।
তাই আমরা আজ জানতে পারছি, গান, বাদ্য নাটক, অভিনয়, ছন্দ, তাল, লয়, সুর, সংগীত, নাদ অনুনাদ, রাগ রাগিনী, স্বরলিপি (সা রে গা মা পা)।
এই সবই মহাদেব শিব ভরত মুনির মাধ্যমে মানব জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন।
এবং এই সবই আমরা পঞ্চমবেদ /স্কন্দপুরান আর নাট্য সুত্র থেকে পাই।
⛺ অতএব------///
আমাদের সনাতন বেদই এই বিশ্বের শিল্প ও সংস্কৃতির পথ ও পাথেয়।
📓
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
★★★ সত্যম শিবম সুন্দরম ★★★
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
╭☆ ╯ 🔮::||
নাট্যশাস্ত্রের আদি প্রবক্তা শিব ||::🔮
┗╯\╲ 🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
╬═╬
☸ মহাদেব শিবকে নটরাজ বলা হয়।
🌹 শিব ছিলেন নৃত্যরাজ,
🌹 শিব ছিলেন কন্ঠ শিল্পী,
🌹 শিব ছিলেন বাদ্যকার ও
🌹 শিব ছিলেন অভিনেতা।
⛺ আর তাই l ------///
> শিব নাচতেন তান্ডব ও লাস্য মুদ্রায়,
> শিব বাজাতেন ডমরু,
> শিব গীত গাইতেন সুমধুর সুরেলা কন্ঠে,
> আর অভিনয় করতেন নানা রুপে, নানা সাজে
⛺ সুতরাং------///
# নৃত্য, গীত, বাদ্য এই তিনটির মিলনের ফল নাট্য শাস্র
# নটরাজ শিব এই নৃত্য, গীত আর বাদ্যের আদি প্রবক্তা।
⛺ অতএব------///
ভগবান শিব নিজেই নেচে গেয়ে, বাদ্য বাজিয়ে মানব জাতিকে শিখিয়েছেন শিল্প কলা ( নাচ, গান, বাদ্য ও অভিনয়)
শিবই মানব জাতিকে শিখিয়েছেন
যোলকলা, নাদ-অনুনাদ, ছয়রাগ, ছত্রিশ রাগিনী নয়রস, সপ্তসুর/ স্বরলিপি ( সা রে গা মা পা ধা নি) তাল, লয় ও ছন্দ।
📘📘 শিব কেন এই সংস্কৃতি আমাদের শিখালেন ?
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
⛺ কারন ------//
সংস্কৃতিও পারে মানুষের মনে দৈব প্রকৃতির বিকাশ ঘটাতে। তাই শিব মানব সভ্যতা ও মানব কল্যানের বিকাশ সাধনের জন্যিই এই সংস্কৃতি উপহার দিয়েছিলে
📘📘 তাহলে শিব কিভাবে স্বর্গ থেকে মানব জাতিকে এই জ্ঞান দিলেন ?
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
🌹 ভগবান শিব সর্বপ্রথম ব্রহ্মাকে এই নাট্যবেদ উপদেশ দিয়েছিলেন। এই বেদ হল পঞ্চমবেদ।
🌹 তারপর ব্রহ্মা ভরতমুনিকে বলেন এবং
🌹 ভরতমুনি তা মর্ত্যে প্রচার করেন এবং তা স্কন্ধ পুরানে আর নাট্য সুত্রে লিপিবদ্ধ করে রাখেন।
⛺ আর তাই------///
আজও ভরতমুনির ‘নাট্যসূত্র’ বিশ্ব বিখ্যাত।
📘📘 তাহলে এর প্রমান কি ?
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
হাজার হাজার বছর আগের ভরতমুনির স্কন্দপুরানের ‘নাট্যসূত্রে’ এর প্রমান পাওয়া যায়।
⛺ আর এইভাবেই ------///
এইভাবেই এই পৃথিবীতে নাট্য শাস্রের উদ্ভব হয়েছিল। সনাতন শাস্রের এই বেদ থেকেই উদ্ভব হল নৃত্য, সংগীত, বাদ্যযন্ত্র, নাটক, অভিনয় ও অন্যান্য শিল্প কলা।
আবার সর্ব প্রথম বীনা তৈরি করেছিলেন নারদ মুনি।
⛺ সুতরাং------///
এইভাবেই স্কন্দপুরান ও ভরত মুনির নাট্য সুত্র থেকে মনুষ্যগন সুত্র নিয়ে নানাভাবে রুপান্তর করে তৈরি করলেন অন্যান্য নৃত্য, কাব্য, গীত, তবলা, হারমোনিয়াম, সেতার, গীটার, সুর, ছন্দ, তাল, লয় আরো নানা কিছু। আর তাই সংস্কৃতিকে শিবের স্তুতি করা হয়।
এইখানে স্কন্দ পুরানের একটা কাহিনী উল্লেখ করলাম ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
★★★
স্কন্দপুরানে নটরাজ শিবের চার মাসব্যাপী এক নৃত্যাভিনয়ের কথা উল্লেখ আছে। আষাঢ় মাসের চতুর্দশী তিথিতে আরম্ভ হয়ে কার্ত্তিক মাসের শুক্লা চতুর্দশী পর্যন্ত ঐ নৃত্য অবিরাম চলেছিল।
# মহাদেব শিব বেশ সাজুগুজু করেছিলেন
* মাথার মুকুটে বসালেন সর্প,
* শরীরে মাখলেন ভস্মরাগ,
* আরো নানাবিধ ভূষনে হয়েছিলেন সুসজ্জিত
★ স্বর্গে নটরাজ শিবের সেই নৃত্য আসরে...
* মৃদঙ্গ বাজিয়েছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা,
* তাল দিয়েছিলেন কেশব,
* বংশী বাজিয়েছিলেন ইন্দ্র,অগ্নি প্রমুখ
* কেউ বাজিয়েছিলেন উপাঙ্গ
* কেউ বাজিয়েছিলেন শূর্প
* কেউ বাজিয়েছিলেন পনব,
* কেউ বাজিয়েছিলেন ঘণ্টা,
আর অন্যান্য দেবতাদের মধ্যে কেউ শংকো, কেউ করতাল, কেউ অন্যান্য বাদ্য।
বাজনার তালে তালে মধুর সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন গন্ধর্ব গন।
আর শিব সেজে গুজে নৃত্যাভিনয় পরিবেশন করলেন লাস্য মুদ্রায়। শিবের সেই নৃত্যে তাল ছিল রুদ্র আর রস ছিল শান্ত।
যদিও কখনো কখনো শিব রাগে ক্ষোভে তান্ডব নৃত্যে স্বর্গ কাঁপিয়ে ফেলতো।
সকল দেব দেবীগন শিবের সেই নৃত্যাসর উপভোগ করেছিলেন ।
পরিশেষে বলতে চাই......... ////
আজকের এই সভ্য দুনিয়ায় আমরা যে, গান বাদ্য, নাটক, অভিনয় করে ও দেখে আনন্দ পাই, এই সবই মহাদেব শিবের কল্যানেই আমরা পেয়েছি। শিব ভরত মুনির মাধ্যমে আমাদের এই অপরুপ সংস্কৃতি শিখিয়েছেন।
তাই আমরা আজ জানতে পারছি, গান, বাদ্য নাটক, অভিনয়, ছন্দ, তাল, লয়, সুর, সংগীত, নাদ অনুনাদ, রাগ রাগিনী, স্বরলিপি (সা রে গা মা পা)।
এই সবই মহাদেব শিব ভরত মুনির মাধ্যমে মানব জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন।
এবং এই সবই আমরা পঞ্চমবেদ /স্কন্দপুরান আর নাট্য সুত্র থেকে পাই।
⛺ অতএব------///
আমাদের সনাতন বেদই এই বিশ্বের শিল্প ও সংস্কৃতির পথ ও পাথেয়।
📓
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
★★★ সত্যম শিবম সুন্দরম ★★★
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
0 comments :