╲\╭┓
╭☆ ╯ 🔮::|| রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ||::🔮
┗╯\╲ 🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
╬═╬
╬═╬
সনাতনীরা কেন সিদ্ধিপ্রাপ্ত মহাপুরুষগনের মন্দির বানিয়ে পুজা করেন ?
---------------------------------------------
📓 একদিন গদাধর গভীর ধ্যানমগ্ন হবার পর
হঠাৎ ধ্যান ভঙ্গ করে অচৈতন্য অবস্থায়
তার শিষ্যদের ডেকে বললেন -----//
তোমরা যাকে রাম বলো,
তোমরা যাকে কৃষ্ণ বলো,
অামিই সেই রাম, অামিই সেই কৃষ্ণ।
সেই থেকেই সাধক গদাধরের নাম হয়ে গেল রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব
⛺ কারন-----//
রাজযোগের ফলে, যোগী যখন সমাধীস্থ হন, তখন
অাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন হয়, তখন সেই অবস্থায় সেই যোগীর অাত্মা পরমাত্মায় লীন হয়ে যায়।
⛺ অর্থাৎ -----//
তখন যোগীর দেহ বিনাশ হয়ে পরমাত্মা ওঁ এ স্থিত হয়।
তখন থেকে তার সকল কায্য পরমাত্মা ওঁ এ
সন্চালিত হয়। তখন তার অাত্মা ও পরমাত্মা ওঁ
এক ও অভিন্ন সত্তা রুপে বিদ্যমান।
এখানে ঈশ্বর হল ওঁ (পরমাত্মা )
সেই যোগী যখন রাস্তা দিয়ে হেটেও যায়, তার সংস্পর্শে হাজার হাজার রোগী ভাল হয়ে যায়।
কারন তখন সে যোগী অার দেহ থাকে না, তার মধ্যে পরমাত্মা ক্রিয়া করে। সিদ্ধি প্রাপ্ত মহাসাধকের মাধ্যমে পরমাত্না ঈশ্বর ক্রিয়াশীল।
সেই সাধক যা দেখেন তা ইশ্বরই তার চোখ দিয়ে দেখেন,
তিনি যা শুনেন তা ইশ্বরই তার কান দিয়ে শুনেন। তিনি যে কায্য লোকহিতের জন্য করেন, তা ইশ্বরই
(ওঁ) তার মাধ্যমে করান।
⛺ অার তাই -----//
সনাতনীরা রামকৃষ্ণ পরমহংস, লোকনাথ, বালাজী এদের মন্দির বানিয়ে পুজা করে।
বৌদ্ধরা বুদ্ধের মন্দির বানিয়ে বুদ্ধকে পুজা করে
খ্রিষ্টানরা চার্চে যীষুকে এবং শিখরা গুরুদুয়ারায় নানককে পুজা করে।
মুসলিমরা পীর অাউলিয়ার মাঝারে পুজা করে
যেমন, কাবা শরীফ, অাজমীর শরীফ, বার অাউলিয়ার মাঝার ইত্যাদি।
ঈশ্বর কখনো নিজে করে না, তিনি করান।
যেমনঃ
দেব দেবী দিয়ে ------//
ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিবকে দিয়ে সৃস্টি স্থিতি প্রলয়।
ভগবান দিয়ে ------//
কৃষ্ণ,রামকে দিয়ে জাগতিক কল্যান ও দুষ্টের দমন, সৃষ্টের পালন ও লোকশিক্ষা।
অবতার দিয়ে ------//
অবতার দিয়ে সাধারন মানুষের কল্যান ও মঙ্গল।
যেমন -লোকনাথ, বালাজী এরুপ অসংখ্য মহাপুরুষ।
ঈশ্বর কাদের দিয়ে করান ---?*********************
১) দেবদেবী (অলৌকিক ভাবে প্রকাশিত)
২) ভগবান ( অলৌকিক ভাবে অাবির্ভুত)
৩) অবতার/অবতারী ( সাধনা দ্বারা সিদ্ধি প্রাপ্ত)
৪) সিদ্ধি প্রাপ্ত যোগী ( সাধনা দ্বারা)
উক্ত সবার মাধ্যম একজনই ওঁ। সবার মাঝেই একমাত্র পরমাত্মা ঈশ্বর ওঁ। তিনি এক এবং তার মাধ্যমে একজন ঈশ্বরই (ওঁ) বিরাজিত।
⛺ সুতরাং -----//
ঈশ্বর কখনো দেবদেবী, কখনো ভগবান, কখনো অবতার এবং কখনো সিদ্ধিপ্রাপ্ত যোগী দ্বারা সৃস্টির কল্যান সাধন করেন।।
লোকনাথ, বালাজী, রামঠাকুর, অনুকুল চন্দ্র এইরুপ অসংখ্য সিদ্ধি প্রাপ্ত মহাসাধক পরমাত্মায় লীন হয়ে পরমাত্মা রুপে ক্রিয়াশীল হয়ে মানব জাতিকে কল্যান করেন। মুলত সাধক কিছু করে না, পরমাত্মাই করান। তাই তারা পুজনীয়।
অনেকেই প্রশ্ন করেন, সাধকরাতো ঈশ্বর না, তবু কেন সনাতনীরা লোকনাথ, রামকৃষ্ণ বালাজী প্রমুখের মন্দির বানিয়ে পুজা করে???? তাদের পুজা করে কী লাভ?
তাই এই লেখাটা তার উত্তরের প্রচেষ্টা।
📘📓
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
★★★ ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ ★★★
সত্যম শিবম সুন্দরম
ওঁ নম: শিবায়
ওঁ কৃষ্ণায় নম:
ওঁ জয় শ্রী রাম
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
সর্বে ভবন্তু সুখিন,
সর্বে সন্তু নিরাময়া, সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু,
মা কশ্চিদ দুঃখ মাপ্নুয়াত,
ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি
🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
╭☆ ╯ 🔮::|| রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ||::🔮
┗╯\╲ 🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
╬═╬
╬═╬
সনাতনীরা কেন সিদ্ধিপ্রাপ্ত মহাপুরুষগনের মন্দির বানিয়ে পুজা করেন ?
---------------------------------------------
📓 একদিন গদাধর গভীর ধ্যানমগ্ন হবার পর
হঠাৎ ধ্যান ভঙ্গ করে অচৈতন্য অবস্থায়
তার শিষ্যদের ডেকে বললেন -----//
তোমরা যাকে রাম বলো,
তোমরা যাকে কৃষ্ণ বলো,
অামিই সেই রাম, অামিই সেই কৃষ্ণ।
সেই থেকেই সাধক গদাধরের নাম হয়ে গেল রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব
⛺ কারন-----//
রাজযোগের ফলে, যোগী যখন সমাধীস্থ হন, তখন
অাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন হয়, তখন সেই অবস্থায় সেই যোগীর অাত্মা পরমাত্মায় লীন হয়ে যায়।
⛺ অর্থাৎ -----//
তখন যোগীর দেহ বিনাশ হয়ে পরমাত্মা ওঁ এ স্থিত হয়।
তখন থেকে তার সকল কায্য পরমাত্মা ওঁ এ
সন্চালিত হয়। তখন তার অাত্মা ও পরমাত্মা ওঁ
এক ও অভিন্ন সত্তা রুপে বিদ্যমান।
এখানে ঈশ্বর হল ওঁ (পরমাত্মা )
সেই যোগী যখন রাস্তা দিয়ে হেটেও যায়, তার সংস্পর্শে হাজার হাজার রোগী ভাল হয়ে যায়।
কারন তখন সে যোগী অার দেহ থাকে না, তার মধ্যে পরমাত্মা ক্রিয়া করে। সিদ্ধি প্রাপ্ত মহাসাধকের মাধ্যমে পরমাত্না ঈশ্বর ক্রিয়াশীল।
সেই সাধক যা দেখেন তা ইশ্বরই তার চোখ দিয়ে দেখেন,
তিনি যা শুনেন তা ইশ্বরই তার কান দিয়ে শুনেন। তিনি যে কায্য লোকহিতের জন্য করেন, তা ইশ্বরই
(ওঁ) তার মাধ্যমে করান।
⛺ অার তাই -----//
সনাতনীরা রামকৃষ্ণ পরমহংস, লোকনাথ, বালাজী এদের মন্দির বানিয়ে পুজা করে।
বৌদ্ধরা বুদ্ধের মন্দির বানিয়ে বুদ্ধকে পুজা করে
খ্রিষ্টানরা চার্চে যীষুকে এবং শিখরা গুরুদুয়ারায় নানককে পুজা করে।
মুসলিমরা পীর অাউলিয়ার মাঝারে পুজা করে
যেমন, কাবা শরীফ, অাজমীর শরীফ, বার অাউলিয়ার মাঝার ইত্যাদি।
ঈশ্বর কখনো নিজে করে না, তিনি করান।
যেমনঃ
দেব দেবী দিয়ে ------//
ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিবকে দিয়ে সৃস্টি স্থিতি প্রলয়।
ভগবান দিয়ে ------//
কৃষ্ণ,রামকে দিয়ে জাগতিক কল্যান ও দুষ্টের দমন, সৃষ্টের পালন ও লোকশিক্ষা।
অবতার দিয়ে ------//
অবতার দিয়ে সাধারন মানুষের কল্যান ও মঙ্গল।
যেমন -লোকনাথ, বালাজী এরুপ অসংখ্য মহাপুরুষ।
ঈশ্বর কাদের দিয়ে করান ---?*********************
১) দেবদেবী (অলৌকিক ভাবে প্রকাশিত)
২) ভগবান ( অলৌকিক ভাবে অাবির্ভুত)
৩) অবতার/অবতারী ( সাধনা দ্বারা সিদ্ধি প্রাপ্ত)
৪) সিদ্ধি প্রাপ্ত যোগী ( সাধনা দ্বারা)
উক্ত সবার মাধ্যম একজনই ওঁ। সবার মাঝেই একমাত্র পরমাত্মা ঈশ্বর ওঁ। তিনি এক এবং তার মাধ্যমে একজন ঈশ্বরই (ওঁ) বিরাজিত।
⛺ সুতরাং -----//
ঈশ্বর কখনো দেবদেবী, কখনো ভগবান, কখনো অবতার এবং কখনো সিদ্ধিপ্রাপ্ত যোগী দ্বারা সৃস্টির কল্যান সাধন করেন।।
লোকনাথ, বালাজী, রামঠাকুর, অনুকুল চন্দ্র এইরুপ অসংখ্য সিদ্ধি প্রাপ্ত মহাসাধক পরমাত্মায় লীন হয়ে পরমাত্মা রুপে ক্রিয়াশীল হয়ে মানব জাতিকে কল্যান করেন। মুলত সাধক কিছু করে না, পরমাত্মাই করান। তাই তারা পুজনীয়।
অনেকেই প্রশ্ন করেন, সাধকরাতো ঈশ্বর না, তবু কেন সনাতনীরা লোকনাথ, রামকৃষ্ণ বালাজী প্রমুখের মন্দির বানিয়ে পুজা করে???? তাদের পুজা করে কী লাভ?
তাই এই লেখাটা তার উত্তরের প্রচেষ্টা।
📘📓
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
★★★ ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ ★★★
সত্যম শিবম সুন্দরম
ওঁ নম: শিবায়
ওঁ কৃষ্ণায় নম:
ওঁ জয় শ্রী রাম
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
সর্বে ভবন্তু সুখিন,
সর্বে সন্তু নিরাময়া, সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু,
মা কশ্চিদ দুঃখ মাপ্নুয়াত,
ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি
🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
0 comments :