Monday, 5 June 2017

শিব লিঙ্গহচ

ত্রাণ নয় অসহায় পরিবারের মাঝে সামান্য উপহার দিতে চাই, আপনি কি আমাদের সাথে থাকবেন? আসুন আমরা সবাই সাধ্যমতে অসহায়দের পাশে দাড়াঁই। প্রিয় সুধী, নমষ্কার / আদাব, বর্তমান বিশ্বে মহামারি প্রাণ করোণা ভাইরাসে     04:51     No comments

╲\╭┓
╭☆ ╯ 🔮::||         শিব লিঙ্গ          ||::🔮
┗╯\╲ 🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
╬═╬

পুরুষাঙ্গের সংস্কৃত শব্দ =  শিশ্ন
প্রতীক চিহ্নের  সংস্কৃত শব্দ =  লিঙ্গ

শিবলিঙ্গ হচ্ছে মঙ্গলময় পরমাত্মার প্রতীক।

⛺ সুতরাং ------//
এই শব্দ সংস্কৃত থেকে উচ্চারন হয় বলেই আমরা  লিঙ্গ বলি।

এই লিঙ্গ শব্দকে নিয়ে  মুর্খরা হাসাহাসি করে। মুর্খরা মনে করে, এটি বাংলা শব্দ যৌনাঙ্গকে বুঝায়। কিন্তু তারা বোঝে না এই শব্দ সংস্কৃত থেকে এসেছে।  যার অর্থ প্রতীক চিহ্ন।

               
⛺ তাই  -----///
শিবের প্রতিককে শিব লিঙ্গ বলা হয়।

⛺ কিন্তু  -----///
যদি সত্যিই পুরুষ লিঙ্গ  বুঝাতো তাহলে "শিব লিঙ্গ" না বলে  "শিব শিশ্ন" বলা হত।

⛺ অতএব  -----///
এখন নি: সন্দেহে বলা যায়, সংস্কতিতে লিঙ্গ হল প্রতিক চিহ্ন।
শিবপুরাণ ও সকল শাস্ত্রেই শিবলিঙ্গ বলতে পরমব্রহ্মের প্রতীকই বোঝানো হয়েছে।
           

☸☸ শাস্রে এই প্রতীকের  প্রমান কি -------??? ☸☸
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
🌻  লিঙ্গপুরান মতে ------///
"প্রধানাম প্রকৃতির যদাধুর লিঙ্গমুত্তমম গান্ধবর্নরসাহৃনম শব্দ স্পর্শাদি বর্জিতম"
অর্থাত্‍ লিঙ্গ হল প্রকৃতির সর্বোচ্চ প্রকাশক যা স্পর্শ, বর্ন,গন্ধহীন। এই প্রতীক চিহ্ন মহাদেব শিবের সর্বোচ্চ সত্ত্বা।
🌻 অথর্ববেদের স্কম্ভসুক্ত মতে -------///
একটি গোলাকার স্তম্ভের উল্লেখ আছে। এই স্তম্ভ  নিরাকার অনন্ত ব্রহ্ম ও বিশ্বব্রহ্মান্ডের  প্রতীক। আর সেই গোল  বৃত্তাকার অংশ দ্বারা অসীমকে বোঝান হয়,  যার কোন আদি অন্ত নেই অর্থাৎ যা সর্ববিরাজমান।
               
⛺  তাহলে  -----///
☸☸  স্তম্ভকে এমন রুপ কেন দেয়া হল  --?  ☸☸
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
এই স্তম্ভকে পরবর্তীতে,  এমনভাবে রুপ দেয়া হল, যাতে  এই রুপে  ঈশ্বরীয় গুনের প্রকাশ পায়।
👘  যেমন ------///
🌹 এই গোল স্তম্ভ ব্রহ্মাণ্ডের আকৃতিতে অর্থাৎ শুন্যর ইঙ্গিতে এক আদি  চূড়ান্ত পরাশক্তি বোঝায়
🌹 ঈশ্বরের নির্দিষ্ট আকার নাই, তার ইঙ্গিত দেয়।
🌹 ঈশ্বর শুন্যে অবস্থিত কিন্তু সর্বত্র বিরাজমান।
🌹 এই গোল স্তম্ভে  ব্রহ্মা বিষ্ণু শিবের আঙ্গিক যুক্ত এক মহা শক্তির ইঙ্গিত বহন করে।

☸☸ শিবলিঙ্গের দার্শনিক তাৎপর্য  ☸☸
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
উপরের অংশটি স্তম্ভ ( ইশ্বরীয় নিরাকার তত্ত্ব)
মাঝের অংশটি পিঠ ও বুক ( সৃস্টি ও প্রলয়)
নিচের অংশটি অবস্থান  ( স্থিতি)
অর্থাৎ
সৃস্টি, স্থিতি ও প্রলয়ে -- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের তৎপরতাই  মহাশক্তির উৎস নিরাকার ব্রহ্মে  শুন্যে  বা  ওম এ স্থিত হওয়াকে বোঝায়।
⛺ তাই  -----///
এখানে উল্লেখ্য ---------//
ওঁ ব্রহ্মা
ওঁ বিষ্ণু
ওঁ শিব
এখানে ওঁ  এর রুপ হল শিব লিঙ্গের উপরের গোল স্তম্ভ।
অর্থাৎ
সাধারন অর্থে -------///
এই গোল স্তম্ভে মাঝখানে পিঠ দেয়া হল,  যাতে উপরে জল ঢাললে এক পাশে গড়িয়ে পড়ে।  আর এইটি বসানোর জন্য নীচে গোলাকার  অবস্থান দেয়া হল।

⛺ প্রকৃতপক্ষে  -----///
এই প্রতীক লিঙ্গ কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহা মোনিষীরা গবেষনা করে সত্য উৎঘাটন করেছেন।  তাই তাদের গবেষনার প্রমান আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম :
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
🌹 মনিয়ার উইলিয়ামস
 তাঁর ব্রাহ্মণইজম্‌ অ্যান্ড হিন্দুইজম্‌ বইয়ে লিখেছেন, "লিঙ্গ" প্রতীকটি "শৈবদের মনে কোনো অশালীন ধারণা বা যৌন প্রণয়াকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয় না।
অবশ্য ১৮২৫ সালে হোরাস হেম্যান উইলসন দক্ষিণ ভারতের লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় সম্পর্কে একটি বই লিখে এই ধারণা খণ্ডানোর চেষ্টা করেছিলেন।

🌹 এন. রামচন্দ্র ভট্ট প্রমুখ গবেষকেরা মনে করেন, পুরুষাঙ্গের অনুষঙ্গটি অপেক্ষাকৃত পরবর্তীকালের রচনা।

🌹 এম. কে. ভি. নারায়ণ শিবলিঙ্গকে শিবের মানবসদৃশ মূর্তিগুলি থেকে পৃথক করেছেন। তিনি বৈদিক সাহিত্যে লিঙ্গপূজার অনুপস্থিতির কথা বলেছেন এবং এর যৌনাঙ্গের অনুষঙ্গটিকে তান্ত্রিকসূত্র থেকে আগত বলে মত প্রকাশ করেছেন।

🌹 স্বামী বিবেকানন্দ বলেন, শিবলিঙ্গ ধারণাটি এসেছে বৈদিক যূপস্তম্ভ বা স্কম্ভ ধারণা থেকে। ১৯০০ সালে প্যরিসে হয়ে যাওয়া ধর্মসমূহের ঐতিহাসিক মূল শীর্ষক সম্মেলনে বিশ্ববাসীর সামনে অথর্ববেদের স্কম্ভসুক্তের
 সাহায্যে তুলে ধরে বলেন,   শালগ্রাম শিলাকে পুরুষাঙ্গের অনুষঙ্গ বলাটা এক কাল্পনিক আবিষ্কার মাত্র। তিনি আরও বলেছিলেন, শিবলিঙ্গর সঙ্গে পুরুষাঙ্গের যোগ বৌদ্ধধর্মের পতনের পর আগত ভারতের অন্ধকার যুগে কিছু অশাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তির মস্তিস্কপ্রসূত গল্প।

🌹 স্বামী শিবানন্দ বলেন," শিব লিঙ্গকে যোনাঙ্গ ভাবা  শুধু ভূলই নয় বরং অন্ধ অভিযোগ।

🌹 ১৮৪০ সালে এইচ. এইচ. উইলসন  বলেছিলেন,
শিবলিঙ্গ পুরুষলিঙ্গের প্রতিনিধিত্বকারী নয়,  বরং এটি
সৃস্টির সর্বোচ্চ সত্তার প্রতীক।

🌹 ঔপন্যাসিক ক্রিস্টোফার ইসারউড
লিঙ্গকে যৌন প্রতীক মানতে চাননি। ব্রিটানিকা এনসাইক্লোপিডিয়ায় "Lingam" ভুক্তিতেও শিবলিঙ্গকে যৌন প্রতীক বলা হয়নি।

🌹 অধ্যাপক ডনিগার  তাঁর দ্য হিন্দুজ: অ্যান অল্টারনেটিভ হিস্ট্রি বইতে তাঁর বক্তব্য পরিষ্কার করে লিখেছেন। তিনি বলেছেন, কোনো কোনো ধর্মশাস্ত্রে শিবলিঙ্গকে ঈশ্বরের বিমূর্ত প্রতীক বা দিব্য আলোকস্তম্ভ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সব বইতে লিঙ্গের কোনো যৌন অনুষঙ্গ নেই।

🌹 কিন্তু হিন্দু বিরুধী হেলেন ব্রুনারের মতে, লিঙ্গের সামনে যে রেখাটি আঁকা হয়, তা পুরুষাঙ্গের গ্ল্যান্স অংশের একটি শৈল্পিক অনুকল্প। এই রেখাটি আঁকার পদ্ধতি মধ্যযুগে লেখা মন্দির প্রতিষ্ঠা-সংক্রান্ত অনুশাসন এবং আধুনিক ধর্মগ্রন্থেও পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠাপদ্ধতির কিছু কিছু প্রথার সঙ্গে যৌন মিলনের অনুষঙ্গ লক্ষ্য করা যায়। যদিও গবেষক এস. এন. বালগঙ্গাধর লিঙ্গের যৌন অর্থটি সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।

⛺ তাহলে  -----///
এই লিঙ্গ যে সত্যিই পুরুষাঙ্গ নয়,  তার প্রমান হল :
১)  এর প্রমান --- অথর্ববেদ,  পুরান
২) এর প্রমান --- বিশ্বের বিভিন্ন গবেষকদের মতামত
যেমন  :
১) এইচ. এইচ. উইলসন
২) ঔপন্যাসিক ক্রিস্টোফার ইসারউড
৩ ) মনিয়ার উইলিয়ামস
৪) ঔপন্যাসিক ক্রিস্টোফার
৫) শিবানন্দ, বিবেকানন্দ, কে ডি নারায়ন
⛺ আবার  -----///
 কিছু হিন্দু বিরুধী গবেষক এই প্রতীককে লিঙ্গ বলেই মত দিয়েছেন।
যেমন,
হেলেন ব্রুনার।

আবার ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশরা তান্ত্রিকদের  দিয়ে জোর করে  যৌনতা রুপে প্রচার করেছিল।  এমনকি জোর করে শাস্রে সেই যৌনতার উল্লেখ করেও অপপ্রচার চালিয়েছিল।  আর হিন্দু বিরুধীরা ওখান থেকেই রেফারেন্স দিয়ে চুলকাতে চায়।।।

📓📓📓
             

🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
      ★★★ সত্যম শিবম সুন্দরম ★★★
                   ★  হর হর মহাদেব ★
                   ★  ওম নম শিবায়  ★
🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒

0 comments :

Recommended

Like Us

Recent

Powered by Blogger.

Blog Archive

Breaking

Popular

LightBlog

Comments

Adbox

Follow Us

Company

LightBlog

Legal Stuff

FAQ's

Blogroll

Subscribe to Newsletter

We'll never share your Email address.